রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণরত বিমান অবতরণের সময় দুর্ঘটনার একঘন্টা পর বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সুপারভাইজার আবদুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার বেলা ৩ টা ৬ মিনিটে গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমির একটি প্রশিক্ষণ বিমান নং-এস২ এএফকে দুর্ঘটনার পর এক ঘণ্টার মধ্যে রানওয়ে থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে করে বিকালে ৫ টা ৫১ মিনিটে নভোএয়ার যাত্রী নিয়ে প্রথমে ল্যান্ড করে।
এরপর ৫টা ৫৫ মিনিটে ইউএস বাংলাও ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে রাজশাহী বিমানবন্দরে ল্যান্ড করে। এরপর ৩৫ ও ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে বিমান দুটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় এখনও কোনও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। তবে রবিবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা অফিস থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতি পরির্দশনে রাজশাহীতে আসবেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমির একটি প্রশিক্ষণ বিমান (মডেল নং- এস টু এএফকে) অবতরণের সময় চাকা ভেঙে হার্ডল্যান্ডিং এর কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। শনিবার (৯ জানুয়ারি) ৩টা ৬ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সুপারভাইজার আবদুল মতিন জানান, রানওয়েতে মুখ থুবড়ে পড়া বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি। বিমানে একজন প্রশিক্ষক এবং একজন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। তারা অক্ষত আছেন। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ফ্লাইং একাডেমির কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
রাজশাহী এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আমিন জানান, গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমির একটি প্রশিক্ষণ বিমান নং-এস২ এএফকে উত্তর দিক থেকে অবতরণ করার সময় রানওয়ের মাঝামাঝি স্থানে বিমানটির পেছনের ডান পাশের একটি চাকা গোড়া থেকে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় আকাশে উড্ডয়নের চেষ্টা করলে হুমড়ি খেয়ে সামনের বড় চাকাটি গোড়া থেকে ভেঙে যায়।
তিনি আরও বলেন, বিমানটিতে গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমির চিফ ফ্লাইং প্রশিক্ষক ক্যাপ্টেন মশিউর রহমান নিজেই চালক হিসেবে ছিলেন। তার সঙ্গে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে ছিলেন রায়হান গফুর।
এদিকে রাজশাহীর হজরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরে ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল দুপুরে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি অ্যান্ড সিভিল এভিয়েশনের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। এতে বিমানের প্রশিক্ষণার্থী পাইলট নিহত এবং এর ক্যাপ্টেন গুরুতর আহত হন।