fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িজাতীয়অপরাধরাজশাহীর আড়ানীতে নৌকার সভায় হামলা, গুলি

রাজশাহীর আড়ানীতে নৌকার সভায় হামলা, গুলি

রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদের পথসভায় ককটেল হামলা হয়েছে।  পৌর এলাকার তালতলায় এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদ পথসভায় উপস্থিত ছিলেন। হামলায় তিনি অক্ষত থাকলেও তার ভাগ্নে তুষার (২৮) আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।

এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ব্যক্তিগত চেম্বার ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন দেয়া হয়। সেখানকার শতাধিক দোকানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মধ্যরাতে তালতলা বাজারের দুই প্রান্তে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদের সমর্থকরা।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদের অভিযোগ, তার পথসভায় লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়েছেন মেয়র প্রার্থী মুক্তার আলী। হঠাৎ করে গুলিবর্ষণ শুরু করেন এবং বোমা হামলা চালান। প্রাণের ভয়ে এ সময় নৌকার সমর্থকরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালায়। এর আগেও বারবার নৌকার কর্মীদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে মুক্তার আলীর লোকজনের। কিন্তু অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলছে না।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কয়েক দফা চেষ্টা করেও বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে এ নিয়ে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি করেছেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

আগামী ১৬ জানুয়ারি এই পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে অংশ নিচ্ছেন শাহিদুজ্জামান শাহিদ, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তোজাম্মেল হোসেন এবং স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

মেয়র মুক্তার আলী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে থাকায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments