বগুড়ায় মালামাল নামাতে এসে অপহরণের শিকার ট্রাকচালক ইমরান ও মালিক রিমন ফরাজিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে শহরের জহুরুলনগর এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এসময় দুই অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক দুইজন হলেন— বগুড়া শহরের হাড্ডিপট্টি এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে সোহাগ সরকার (৩৮) ও দুপচাচিয়া উপজেলার নজরুল ইসলামের ছেলে শাহিনুর রহমান (৩৩)। এরমধ্যে সোহাগ নারী নির্যাতন ঘটনায় আলোচিত তুফান সরকারের বড়ভাই। তারা ট্রাকচালক ও মালিককে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
বগুড়া সদর থানার ওসি তদন্ত আবুল কালাম আজাদ জানান, বরগুনা থেকে মিনিট্রাকে করে মালামাল নিয়ে চালক ইমরান ও মালিক রিমন ফরাজি সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে বগুড়া শহরের চারমাথা এলাকায় আসে। সেখানে তারা মালামাল বুঝিয়ে দেয়ার পর ট্রাকমালিক রিমন তার নিকটাত্মীয় সবুজের বাড়িতে যায়। সন্ধ্যায় সবুজ তাদেরকে পালশা এলাকায় তার বন্ধু পারভেজের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে পাওনা টাকা চাইতে পারভেজের বাড়িতে আসে এলাকার জিসান ও খলিল নামের দুই যুবক। তারা বাড়িতে বাইরের অতিথি দেখে অপহরণ করে চাঁদাবাজির ফন্দি করে।
পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী রিমন, ইমরান ও সবুজকে জোরপূর্বক অপহরণ করে শহরের জহুরুলনগর এলাকায় অবস্থিত বেলালের ছাত্রবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগ দেয় আলোচিত তুফান সরকারের বড়ভাই সোহাগ সরকার ও শাহিনুর রহমান। তারা ট্রাকচালক ও মালিককে মারপিট করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
একইসঙ্গে তাদের মিনিট্রাকটিও আরেকটি গ্যারেজে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। মধ্যরাতে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ট্রাকমালিক রিমন ছাত্রবাস থেকে বেরিয়ে পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকে। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় তিনি ৯৯৯-এ কল দিয়ে ঘটনাটি জানান। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিমনকে সঙ্গে নিয়ে ওই ছাত্রবাসে অভিযান চালায়। এসময় অপহৃতদের উদ্ধার এবং দুই অপহরণকারীদের আটক করা হয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, আটক দুইজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।