অবশেষে যাত্রীসেবায় রাজশাহী থেকে ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে। এই রুটে খুব শিগগির এক জোড়া নতুন ট্রেন চলাচল শুরু করবে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে। দু’একজন কর্মকর্তা আনঅফিসিয়াল ভাবে বলেন পহেলা বৈশাখই হতে পারে সম্ভাব্য যাত্রা শুরুর দিন।
পদ্মা, ধূমকেতু ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস নামে তিনটি আন্তনগর ট্রেন চলাচল করছে রাজশাহী- ঢাকা রুটে। আসা-যাওয়ার পথে ১০ থেকে ১৪টি রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি করে এসব ট্রেন।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেলপথে ঢাকা থেকে রাজশাহী যেতে প্রায় সাত ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এর মধ্যে একাধিক রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি করায় এক ঘণ্টার মতো বাড়তি সময় চলে যায়। তবে এই রুটে রেলপথে যাত্রীসংখ্যা দিন বাড়ছে। এ জন্য বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। বিরতিহীন এই ট্রেন চালু করতে জাতীয় সংসদে একাধিকবার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনও বিভিন্ন সময় এই ট্রেন সার্ভিস চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের ৭ এপ্রিল বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস চালু করতে মানববন্ধন কর্মসূচি ছিল। তবে গতকাল সোমবার বিকেলে এই ট্রেন চালুর কথা জানান রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (ট্রাফিক ও জনসংযোগ) মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিরতিহীন আন্তনগর ট্রেন চালুর একটি প্রস্তাব রেল মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই রুটে একজোড়া ট্রেন চালু করা হতে পারে।
এদিকে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাব পাঠানো হলেও রেল মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত এটি অনুমোদন হয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আসেনি। একজোড়া ট্রেনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৫টি নামের একটি তালিকা করেছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এখান থেকে পাঁচটি নামের সংক্ষিপ্ত তালিকা করে রেল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকেই নাম চূড়ান্ত করা হবে। এই ট্রেনে মোট বগিসংখ্যা হতে পারে ১২। এসব বগিতে আসনসংখ্যা হবে ৯৩২। অবশ্য বিরতিহীন এই ট্রেনের ভাড়ার বিষয় এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।