সাতক্ষীরার কুলিয়াডাঙ্গা সীমান্তে ২২ বাংলাদেশি নারী পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১০জন নারী ১০জন পুরুষ ও দুই শিশু রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ তাদেরকে উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মানব পাচারকারী দালাল মোকলেসুরের বাড়ির দুটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করে।
এ সময় নাসিমা খাতুন নামের এক পাচারকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।আটককৃতরা জানায়, কাজের সন্ধানে তারা দালালের মাধ্যমে চোরাই পথে ভারতে যাচ্ছিল।
উদ্ধারকৃতরা হচ্ছে, কালিয়ার রত্না শেখ, শ্রীনগর মুন্সিগঞ্জের রুনা খাতুন, রংপুর কাউনিয়ার ইসমত আরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিমু আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিউটি আক্তার, নড়াইলের হীরা বেগম, নড়াইলের শিউলি খাতুন, কালিয়ার কাজল খাতুন, নড়াইলের রুবিনা খাতুন, কালিয়ার লাভলী খাতুন, কালিয়ার আবুল শিকদার, কালিয়ার সোবহান মোল্লা, নড়াইলের ইমন গাজী, খুলনা দিঘলীয়ার তানভির ইসলাম, নড়াইলের মাকবুল মোল্লা, নড়াইলের কামরুজ্জামান, নড়াইলের রফিকুল ইসলাম, শিমু মোল্লা, কায়েস শেখ ও জাহিদ শেখ। তাদের সঙ্গে আরো দুটি শিশু রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জনের বাড়ি নড়াইল জেলায়। অন্যদের বাড়ি রংপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, গোপনসূত্রে খবর পেয়ে কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোকলেসুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মোকলেসকে না পেয়ে তার স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দালাল মোকলেস ও তার স্ত্রী নাসিমা ভারতে ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আজ কোনো এক সময় তাদেরকে সীমান্ত পার করে ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।